সামন্ত দার জন্মদিন নিয়ে দুঃখ (কবিতা)- পবিত্র সরকার

সামস্তদা জন্মেছিলেন ফেব্রুয়ারির উত্রিশে,তাঁর আসে তো কান্না যখন করে বয়েস গুনতি সে।বয়স বাড়ে বছর-বছর, – জন্মদিনে এক একটি,সামস্তদা ভাবেন, ‘দ্যাখো! আমি এমনই ব্যক্তি–আমার একটা জন্মদিনে বয়স বাড়ে চার বছর;নিজের দুঃখে…

সর্বহারা (কবিতা)- কাজী নজরুল ইসলাম

ব্যথার সাতার-পানি-ঘেরাচোরাবালির চর,ওরে পাগল! কে বেঁধেছিস্সেই চরে তোর ঘর?শূন্যে তড়িৎ দেয় ইশারা,হাট তুলে দে সর্বহারা,মেঘ-জননীর অশ্রুধারাঝ’রছে মাথার’ পর,দাঁড়িয়ে দূরে ডাকছে মাটিদুলিয়ে তরু-কর।। কন্যারা তোর বন্যাধারায়কাঁদছে উতরোল,ডাক দিয়েছে তাদের আজিসাগর-মায়ের কোল।নায়ের…

একুশের কবিতা (কবিতা)- আল মাহমুদ

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখদুপুরবেলার অক্তবৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?বরকতের রক্ত।হাজার যুগের সূর্যতাপেজ্বলবে, এমন লাল যে,সেই লোহিতেই লাল হয়েছেকৃষ্ণচূড়ার ডাল যে!প্রভাতফেরির মিছিল যাবেছড়াও ফুলের বন্যাবিষাদ্গীতি গাইছে পথেতিতুমিরের কন্যাচিনতে নাকি সোনার ছেলে‘ক্ষুদিরামকে চিনতে?রুদ্ধশ্বাসে…

এই কটা দিন (কবিতা) – আনসার উল হক

ফুল ফুটেছে রংবেরঙেরকাটছে আঁধার কালো,বাইরে তখন আলো। আলোর ভিতর ঝিকমিকানোরামধনু-রং হাসি,সবাই ভালোবাসি। বাসতে বাসতে আকাশ জুড়েমেঘবালিকার ছবি,আঁকছে হাজার করি। কবির হাতে সোনার কলমকেউ রাখে না খোঁজ,পদ্য লেখেন রোজ। লেখার ভিতর…

বর্ণমালা (কবিতা) – অর্ধেন্দু চক্রবর্তী

রঙের খেলা খালে বিলে, রঙের ওড়াউড়ি,গরিব ঘরেও ফুটে থাকে রঙের একটি কুঁড়িআসল রং বর্ণমালার রং এনে দেয় মনেলিখতে লিখতে হারিয়ে যাই কোন দিকে কার সনে। বর্ণমালা গান হয়ে যায় বনের…

খো খো (কবিতা)- অমিতাভ দাশগুপ্ত

মায়ের সঙ্গে ঠোঙা বানায়, বিকেলে খেলে খো খো,বনগাঁ থেকে বার্লিনে যায়, সাধ্যি থাকে রোখো।মেয়ের বাবা সকাল-সন্ধে চৌমাথাতে হকার,ছোট বোনটি ফাইভে পড়ে, এখনও দাদা বেকার।তবুও খো-খো খেলুড়ে মেয়ে লড়ছে এমন লড়াইতাকে…

জাপানি ছড়া(কবিতা)- অমিতাভ চৌধুরী

নাগাসাকি বাড়ি তারএক ছিল জাপানি,আয়েসে চুমুক দিয়েখাচ্ছিল চা-পানি।হঠাৎ উঠল তারহাঁপ ধরা হাঁপানি।পেয়ালাটা ছুঁড়ে ফেলেকী ভীষণ লাফানিভেউ ভেউ কেঁদে বলে-”নিকাকুরু নাপানি,আরিগাতো গোজামাসফামাহিতো তাপানি।’

ময়নামতী(কবিতা)- অভীক বসু

একখানি মেঘ উড়ে এলময়নামতীর চরে,কালবোশেখের ঝড়ে,নদী তখন উথালপাথালদু’কূল ছেপে যায়,সাগর ডাকে-আয় আয় আয়।মেঘ বলল, থামো!বুক ফেটে যায় দেখে তোমায়করো না পাগলামো।মেঘের কথায় ময়নামতীএবার ফুঁসে ওঠে,কোন সতী তুই রুখবি গতিচোখ রাঙানির…

ভালো থেকো, মা (কবিতা)- অপূর্ব দত্ত

এই চিঠিটা লেখার কথা ছিল দু-মাস আগেজানোই তো মা লিখতে গেলে খাম-পোস্টকার্ড লাগে।আমি কি আর পোস্টাপিসে একলা যেতে পারি?আমার যাওয়া বলতে কেবল পল্লবীদের বাড়ি।তাও ভাগ্যিস একপাঁচিলে, খুব উঁচু নয়, তাইপাঁচ-ছটা…

বীর (কবিতা) – অনির্বাণ ঘোষ

মুখেই শুধু বকম বকম, কাজের বেলায় শূন্যরাখতে পারিস আমার মতন মর্যাদা অক্ষুণ্ণ ?জবান দিলে জবান রাখি এটাই আমার দস্তুর-ভাবিসটা কী; গুরুত্ব নেই এ সব বিষয়বস্তুর?জবান দিলে রাখব আমি নিজের জীবন…