সামস্তদা জন্মেছিলেন ফেব্রুয়ারির উত্রিশে,
তাঁর আসে তো কান্না যখন করে বয়েস গুনতি সে।
বয়স বাড়ে বছর-বছর, – জন্মদিনে এক একটি,
সামস্তদা ভাবেন, ‘দ্যাখো! আমি এমনই ব্যক্তি–
আমার একটা জন্মদিনে বয়স বাড়ে চার বছর;
নিজের দুঃখে ভাবছি এখন নিজের গালেই মারব চড়।
আমরা সকলে সে জন্মদিন ষাট বছরে ষাটটা পায়,
আমার ষাটের জন্মদিনে কেউ কি আমার পাত্তা পায়?
তখন আমি জীবাশ্ম তো, তখন আমি নেই কোথাও,
হতচ্ছাড়া ওই ভগবান ভাবেই-নি রে সেই কথাও।
আমার বয়স তখন যাবে বছর দুশো চল্লিশে
ভগার ব্যাটা! কেন আমার এমন দশা করলি যে!
আমি তখন ভূতেরও ভূত; ভূত হয়েছে নাতির দল,
ছাই হয়ে সব মিলিয়ে গেছে আমার সঙ্গীসাথির দল৷

শয়তানি কী বুদ্ধি ব্যাটা ভগবানের, কই সেটা—
সামনে পেলে ছিঁড়ে দিতুম ভদ্রলোকের পইতেটা।
আর সকলে পাচ্ছে সুফল বুদ্ধি করে জন্মাবার—
বছর বছর জন্মদিনে পায় উপহার, খায় খাবার।
আমার বেলায় কাঁচকলা রে, আমার ভাগ্যে শুকনো ডাব—
চারটি বছর ঠেঙিয়ে আমার জন্মদিনের আবির্ভাব।
এর চেয়ে তো মরণ ভালো, কিন্তু আমি বলছি ভাই,
কোনোক্রমেই ফেব্রুয়ারির ঊনত্রিশে না-মরতে চাই।
জন্মদিনটা ফাঁকি গেল, এখন এমন মরণ হোক,
যেন তোরা বছর-বছর পালন করিস মৃত্যুশোক ৷৷