লালটুক্ নিয়ে এলো মেলা থেকে ময়না,
সব চেয়ে ভালো জাত, এমনটি হয় না।
‘হপ্তা না কাটতেই মিঠে বুলি ধরবে,’
বলে দেছে, ‘যা শেখাবে অনায়াসে পড়বে।’
লালটুক্ মহাখুশি, হাসি তার ধরে না,
ময়না নিয়েই থাকে, পড়াশুনো করে না।

হলঘরে এককোণে ঝোলে ওর খাঁচাটা,
সব থেকে দরকারি সাবধানে বাঁচাটা।
ঘরটার কাছে আছে নিমগাছ ঝাঁকড়া
দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে সেথা কাকরা।

ময়নাটা দিন দুই চুপচাপ থাকলো
ঘাড় কাত করে কিছু শুনে রাখলো।
হাত থেকে ছাতু খায়, হাত পেতে রাখলে,
‘কুঁক্’ করে সাড়া দেয় নাম ধরে ডাকলে।

খোকাভাই একদিন লালটুক্ দিদিকে
বলেছিলো “ময়নাটা এ্যাদ্দিনে কী শিখে
বল দেখি কদ্দুর প্রগ্রেস কল্লে?”
“ডাকলেই সাড়া দেবে” লালটুক্ বল্লে ৷

তারপর কাছে গিয়ে যেই তাকে ডাকা না,
ময়নাও সাড়া দিলে চটপট— ‘কা-আ-কা’-
লজ্জায় লালটুক্ কেঁদে ফেলে ভ্যা করে?
খোকাভাই বোকা হয়ে শোনে শুধু হাঁ করে।