কাঁচরাপাড়ায় যেতেই আমায় আঁচড় দিল পুসিতে,
পা’কপাড়াতে যেতেই আমায় ঠোকরাল কাক খুশিতে।
বাগনানে যেই গেছি আমায় চড় মেরেছে বান্দরে,
আমবাগানে যেতেই শেয়াল গান শেখাল কান ধরে।
ডোকরাগড়ে যেতেই দেখি রাগে সবার চোখ রাঙা,
কাঠঠোকরা বলল, ‘আমরা ফালতু ছেলে-ছোকরা না—
বেলগাছিয়ায় গেছিলেন যে, কই আমাদের বেল কোথায়?
সারা ভারত ঘুরতে যাব, গাড়ির ট্যাঙ্কে তেল কোথায়?’
গতিক দেখে যেই না আমি পালিয়ে এলাম খড়দা-তে,
ক্যাঁক করে সেই ধরল আমায় খ্যাঁকশেয়ালের বড়দাতে।
‘ভাইয়ের কাছে গান শিখেছিস? ভাই তো জানে কাঁচকলা!
আমিই তোকে গান শেখাব, শিগগির চল তালতলায়….
তালতলাতে যেতেই দেখি কানভাঙা এক তানপুরোয়
খ্যাঁকশেয়ালের বেসুর তানে হাজার লোকের প্রাণ জুড়োয়
সবাই যখন গান শুনছে, কী হবে আর দোষ খুঁজে,
বরং নালিশ বন্ধ রেখে ছড়াই লিখি মুখ বুজে।
নালিশ(কবিতা)- জয় গোস্বামী
Related Posts
স্বপ্ন কবে সত্যি হবে(কবিতা) – ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
তোমরা যদিফুলের মতো ফুটতে পারোনদীর মতো ছুটতে পারোচাঁদের মতো উঠতে পারোবাতাস হয়ে লুটতে পারোদল বেঁধে সব জুটতে পারোতবেএই পৃথিবী সত্যি মধুরহবে! তোমরা যদিপাখির মতো উড়তে পারোমেঘের মতো ঘুরতে পারোআনন্দে গান…
জলছবি (কবিতা)- ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
ওই যে হোথায় নদীর বুকে ভাসছে গাঁদাফুলওইখানেতেই ছিল আমাদের প্রাইমারি ইসকুল।আর ওই যে বাঁদিক-পানে ভাসছে ছেঁড়া-শাড়িওইখানটায় বলি শোনো হায়,ছিল আমাদের বাড়ি। বাড়ির পাশেই সবজি-বাগান, বিশাল খেলার মাঠডানদিকে ঠায় এগিয়ে গেলেই…