খুকু যাবে কাজলডাঙা সু-দূর পাড়াগাঁয়
সেথায় গাছের শীতল ছায়া দুলছে উড়নি বায়।
সেথায় তাহার ছবিখানি আঁকতে চিরতরে,
বন মোছে তার দীঘি জলের আরসি খানি ধরে।
হিজল শাখায় দুলিয়ে দেবে তাহার তরে মালা,
অন্ধকারে রাখবে জ্বেলে জোনাক মতির আলা।
তেলাকুচের পাকাফলে ধরবে মুখের চুমো
ঝিঁঝি পোকার বাজবে নূপুর ঘুম ঘুমাঘুম ঘুমো।
হলদে পাখির পালক দিয়ে বুনট করে শাড়ি।
সোনার বরণ অঙ্গখানি জড়িয়ে দেবে তারি।
খুকু যাবে সু-দূর গাঁয়ে, মন তাহারে ধ’রে
বনের ফুলে সাজিয়ে দেবে মনের মতন ক’রে।
বাঁশের পাতার নথ গড়িয়ে পরিয়ে দেবে নাকে,
‘কানাই লাঠির’ হলুদ ফুলে জড়িয়ে খোঁপাটাকে
শিমুল ফুলের গালচে পাতি বসতে দেবে তাতে,
বৈঁচি ফুলে পৈঁচি গড়ে পরাবে দুই হাতে।