দাদা আমায় মারলে পরে।
দিদি ভীষণ বকে।
দিদির শাসন দেখলে বাবা
কান মুলে দেন তাকে।
দিদির কান্না শুনে তখন
রান্নাঘরে যিনি
আঁচলে চোখ আগলে রেখে
কাঁদেন, তাঁকে চিনি-
সরিাটা দিন সামলে রাখেন
মস্ত পরিবার।
নিজের দিকে মুখ ফেরানোয়
গরজ নেই তাঁর।
সবার দিকে সমান নজর,
সমান দায়ভার।
তিনি আছেন— এই কথাটা
বোঝে না সংসার!
কোনও কিছুর জন্যে যে তাঁর
নেই সামান্য দাবি।
যদিও তাঁর আঁচল-বন্দি
গেরস্থালির চাবি।
সবার জন্যে আছেন তিনি
সারা জীবনকাল,
রাত্রি তাঁর স্নেহেই হয়
ফুটফুটে সকাল।
তাঁর স্বপ্নে আমরা থাকি –
আমরা মানুষ হলে
সাধ-পূরণের আনন্দ তাঁর
জীবন ঢেউ তোলে।
সেই স্বপ্ন সত্যি হবে?
আমরা কি তা পারি—
দাদা যদি মারে আমায়
আমিও যদি মারি?