যোগ্য
- যা চিবিয়ে খাবার যোগ্য – চর্ব
- যা চেটে খাবার যোগ্য – লেহ্য
- যা চুষে খাবার যোগ্য – চূষ্য
- যা পান করার যোগ্য – পেয়
- যা পাঠ করিবার যোগ্য – পাঠ্য
- ঘ্রাণের যোগ্য – ঘ্রেয়
- যা নিন্দার যোগ্য নয় – অনিন্দ্য
- নৌ চলাচলের যোগ্য – নাব্য
- প্রশংসার যোগ্য – প্রশংসার্হ
- ঘৃণার যোগ্য – ঘৃণার্হ / ঘৃণ্য
- যা ক্রয় করার যোগ্য – ক্রেয়
- যা খাওয়ার যোগ্য – খাদ্য
- জানিবার যোগ্য – জ্ঞাতব্য
- বরণ করিবার যোগ্য – বরেণ্য
- ক্ষমার অযোগ্য – ক্ষমার্য
- যা অন্তরে ঈক্ষণ যোগ্য – অন্তরিক্ষ
- স্মরণের যোগ্য – স্মরণার্হ
- যা বিক্রয় করার যোগ্য – বিক্রেয়
- রন্ধনের যোগ্য – পাচ্য
- আরাধনা করিবার যোগ্য – আরাধ্য
- ক্ষমার যোগ্য – ক্ষমার্হ
- মান-সম্মান প্রাপ্তির যোগ্য – মাননীয়
- ধন্যবাদের যোগ্য – ধন্যবাদার্হ
- ফেলে দেবার যোগ্য – ফেলনা
জন্ম
- দুবার জন্মে যা – দ্বিজ
- জন্মে নাই যা – অজ
- পঙ্কে জন্মে যা – পঙ্কজ
- যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না – ঊষর
- শুভক্ষণে জন্ম যার – ক্ষণজন্মা
- অনুতে বা পশ্চাতে / জন্মেছে যে – অনুজ
- সরোবরে জন্মায় যা – সরোজ
- অগ্রে জন্মেছে যে – অগ্রজ
- যে জমিতে দুবার ফসল জন্মে – দো-ফসলি
- যে শিশু আটমাসে জন্মগ্রহণ করেছে – আটাসে
- পিতার মৃত্যুর পর জন্ম হয়েছে যে সন্তানের – মরণোত্তর জাতক
- যে জমির উৎপাদন শক্তি নেই – অনুর্বর
- যে সমাজের (বর্ণের) অন্তদেশে জন্মে – অন্ত্যজ
- পূর্বজন্মের কথা স্মরণ আছে যার – জাতিস্মর
দিন
- দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণ – গোধূলি
- দিনের পূর্ব ভাগ – পূর্বাহ্ণ
- দিনের মধ্য ভাগ – মধ্যাহ্ন
- দিনের অপর ভাগ – অপরাহ্ন
- দিনের সায় (অবসান) ভাগ – সায়াহ্ন
- প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন – প্রভাতকল্প
- দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলোর মিলন – গোধূলি
রাত
- রাত্রির প্রথম ভাগ – পূর্বরাত্র
- গভীর রাত্রি – নিশীথ
- রাত্রির মধ্য ভাগ – মহানিশা
- রাত্রিকালীন যুদ্ধ – সৌপ্তিক
- রাত্রির শেষ ভাগ – পররাত্র
- রাতের শিশির – শবনম
- রাত্রির তিন ভাগ একত্রে – ত্রিযামা
গাছ
- যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না – বনস্পতি
- একবার ফল দিয়ে যে গাছ মারা যায় – ওষধি
- যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে – পরগাছা
- যে গাছ কোনো কাজে লাগে না – আগাছা
- ফল পাকলে যে গাছ মারা যায় – ওষধি
- যে গাছ থেকে ঔষধ তৈরি হয় – ঔষধি
আপন
- আপনাকে হত্যা করে যে – আত্মঘাতী
- আপনাকে ভুলে থাকে যে – আত্মভোলা
- যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না – বর্ণচোরা
- আত্মার সম্বন্ধীয় বিষয় – আধ্যাত্মিক
- আপনার বর্ণ লুকায় যে – বর্ণচোরা
- আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা – আত্মকেন্দ্রিক
- যে আপনাকে কৃতার্থ মনে করে – কৃতার্থম্মন্য
- আত্মিক আপনাকে সর্বস্ব ভাবে যে – আত্মসর্বস্ব
- আপনাকে অত্যন্ত হীন বলিয়া ভাবে যে – হীনমন্য
- আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে – পণ্ডিতম্মন্য
সকল
- সকলের জন্য প্রযোজ্য – সর্বজনীন
- সকলের জন্য মঙ্গলকর – সর্বজনীন
- সকলের জন্য অনুষ্ঠিত – সার্বজনীন
- যিনি সর্বত্র ব্যাপিয়া থাকেন – সর্বব্যাপক
- সর্বজন সম্বন্ধীয় – সার্বজনীন
- যিনি সব কিছুই জানেন – সর্বজ্ঞ
- সমস্ত পদার্থ ভক্ষণ করে যে – সর্বভুক
- সর্বজনের হিতকর – সর্বজনীন
- সবকিছু গ্রাস করে যে – সর্বগ্রাসী
- বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন
গমন
- বাহুতে ভর করে চলে যে – ভূজঙ্গ
- সর্বত্র গমন করে যে – সর্বগ
- লাফিয়ে চলে যে – প্লবগ (ব্যাঙ / বানর)
- আকাশে গমন / বিচরণ করে যে – বিহগ (পাখি)
- ভুজের সাহায্যে চলে যে – ভুজঙ্গ / ভুজগ
- যে পা দিয়ে চলে না – পন্নগ (সর্প)
- যে গমন করে না – নগ (পাহাড়)
- যে উরস (বক্ষ) দিয়ে হাঁটে – উরগ (সর্প)
- যে সর্বত্র গমন করে – সর্বগ
- ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চরণশীল – বিসর্পী
- বুকে হেঁটে গমন করে যে – উরগ (সাপ)
- ত্বরিত গমন করতে পারে যে – তুরগ (ঘোড়া)
- জলে ও স্থলে চরে যে – উভচর
- যে ভুজের সাহায্যে (এঁকে বেঁকে ) চলে – ভুজগ / ভুজঙ্গ (সৰ্প)
হাত
- হাতের কব্জি – মণিবন্ধ
- হাতের দ্বিতীয় আঙুল – তর্জনী
- হাতের চতুর্থ আঙুল – অনামিকা
- হাতের তেলো বা তালু – করতল
- হাতের তৃতীয় আঙুল – মধ্যমা
- হাতের পঞ্চম আঙুল – কনিষ্ঠা
- হাতের প্রথম আঙুল (বুড়ো আঙুল) – অঙ্গুষ্ঠ
- হাতের কব্জি থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত – পাণি