১। ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” – কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘প্রলোয়ল্লাস’ কবিতার পরাধীন ভারতের তরুণদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২। কবি কালবৈশাখী ঝড়কে নূতনের কেতন বলেছেন কেন?

উত্তরঃ ‘কেতন’ শব্দের অর্থ ধ্বজা বা পতাকা।কালবৈশাখী ঝড় সমস্ত ধুলো ময়লা দূর করে, জরা – জীর্ণ পাতা ঝড়ের দাপটে উড়িয়ে নতুনের আগমনের পথ সুগম করে দেয়। তাই কবি কালবৈশাখী ঝড়কে ‘নূতনের কেতন’ বলেছেন।

৩। ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বার’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ  ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বার’ বলতে কবি সমুদ্রের অন্যপ্রান্তের অন্যতম সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কেন্দ্র ইংল্যান্ডের রাজপ্রাসাদকে উল্লেখ করেছেন।

৪। ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অংশ?

উত্তরঃ ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অংশ।

৫। “হাঁকে ওই…”-কার হাঁক শোনা যাচ্ছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে মহাকাল শিব ঠাকুরের হাঁক শোনা যাচ্ছে।

৬। “ দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর”- লাইন টির অর্থ বিশ্লেষণ করো?

উত্তরঃ  উদ্ধৃতাংশটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার অংশ।  এখানে মহাকাল মহাদেবের জটায় অবস্থিত শিশু চাঁদের নরম শান্ত আলোয় সকলের ঘর ভোরে উঠবে বলে কবি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

৭। ” মাভৈঃ মাভৈঃ!”-এই “মাভৈঃ” শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ  উদ্ধৃত অংশটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে গৃহীত। ‘মাভৈঃ’ কথার অর্থ ভয় না পাওয়া।

৮। ‘মৃত্যুগহন অন্ধকূপে’ – ‘মৃত্যুগহন অন্ধকূপ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তরঃ মৃত্যুর পরের অবস্থা আমাদের অজানা, তাই কবিমৃত্যুকে কূপ বা কুয়োর অন্ধগহ্বরের সাথে তুলনা করেছেন।

৯। রক্ত মাখা কৃপান কোথায় ঝোলে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় রক্ত মাখা কৃপান বিশ্বপাতার বক্ষ কোলে ঝোলে।

১০। ‘হাঁকে ওই’- কী বলে হাঁক দেয়?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় “জয় প্রলয়ংকর” বলে হাঁক দেয়।

১১। ‘আসছে ভয়ংকর!’ – ভয়ংকর কীভাবে আসছে?

উত্তরঃ  কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় বজ্রশিখার মশাল জেলে আসছেভয়ংকর।

১২।  ‘এবার মহানিশার শেষে’ উষা কীভাবে আসবে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় মহানিশা সমাপ্ত হলে ঊষা আসবে অরুণ হেসে।

১৩।  ‘দিগম্বরের জটায়’ কী হাসে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় দিগম্বরের জটায় হাসে ‘শিশু-চাঁদের কর’ বা সদ্য উদিত হওয়া চাঁদের কিরণ।

১৪। ‘রণিয়ে ওঠে’ – কোথায় কী রণিয়ে ওঠে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় বজ্ররূপ গানে এবং ঝড় তুফানে রণিয়ে ওঠে হ্রেষার কাঁদন।

১৫। ‘আসছে নবীন’ – কী করতে আসছে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় জীবনহীন অসুন্দরকে চিরতরে ছেদ করতে আসছে নবীন।

১৬। ‘…সে চিরসুন্দর!’- কেন তাকে চিরসুন্দর বলাহয়েছে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় যে ভাঙে আবার সেই গড়ে, তাই সে চিরসুন্দর।

১৭। “এবার মহানিশার শেষে” – মহানিশার শেষে কী ঘটবে বলে কবি আশা করেন?

উত্তরঃ  কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি বিশ্বাস করেন যে মহানিশার শেষে ঊষা কালে সূর্যোদয় হবে অর্থাৎ ভারত পরাধীনতার কালিমা ঘুচিয়ে স্বাধীন হবে।

১৮। কালবৈশাখী ঝড় কী রূপে আসে?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কালবৈশাখী ঝড় মহাকালের চন্ড রূপে আসে।

১৯। দিগন্তরের কাঁদন কোথায় লুটায়?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় দিগন্তরের কাঁদন পিঙ্গল এর জটায় লুটায়।

২০। “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?” – কবি এ প্রশ্ন কাদের উদ্দেশে করেছেন?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি সাধারণ ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে আলোচ্য প্রশ্নটি করেছেন।

২১। ” বন্ধুরা প্রদীপ তুলে ধর।”- কিসের জন্য বন্ধুদের প্রদীপ তুলে ধরতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ  কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় মহাকাল প্রলয়ের বেশে অসুন্দরকে বিনাশ করে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করতে আসছেন। তাই তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুদের হাতে প্রদীপ তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন কবি।

২২। ´…এবার ওই আসে সুন্দর!’ – কোন বেশে সুন্দরআসছেন?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কাল ভয়ংকরের বেশে সুন্দর আসছেন।

২৩।  ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি কীসের মধ্যে ‘নূতনের কেতন’ দেখেছেন?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি কালবৈশাখীর ঝড়ের মধ্যে ‘নূতনের কেতন’ দেখেছেন।

২৪। ‘স্তব্ধ চরাচর’- চরাচর স্তব্ধ কেন?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয়নেশার নৃত্য-পাগল‘অট্টরোলের হট্টগোলে’ চরাচর স্তব্ধ হয়েছিল।

২৫। কিসের দোলায় ঝামর ঝাপটা মেরে গগন দুলায়?

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কেশের দোলায় ঝামর ঝাপটা মেরে গগন দুলায়।