একদিন কিনা কলা নাপিত লাঙ্গল নিয়ে কাঁধে
ক্ষেতে গেছল চাষ করতে। আর কে পাওল কাঁদে।
বাঘ এসে বললে তখন, ‘তুই না বেটা চাই?
কোথা যাবি কমলা নাপিত, তোরে ধরে খাই।’
নাপিত বললে, ‘ওরে বাঘ। তুই যে ভারি বোকা!
ভরবে না পেট এখন খেলে, দেখছিল আমি রোগা।
ধান হলে ভাত খেয়ে হব মোটা তাজা;
তখন বরং আমায় খেয়ে দিস রে ব্যাটা সাজা।’
বাঘ ভাবলে ভালই কথা, ‘ধান হবে কবে?
‘তোমরা এসে লাঙল টান, জলদি হবে তবে।’
বুড়া বাঘ বন থেকে আরেক বাঘ এনে,
চাষ করে দিল ক্ষেত, লাগুল টেনে টেনে।
তার পরে হলো ধান; বাঘেরা সব মিলে
ধানের বোঝা বয়ে নিয়ে ঘরে পৌঁছে দিলে।
ঘরের দুয়ার বন্ধ করে বললে নাপিত আস্তে,
‘ল্যাজে বেঁধে ফুটো দিয়ে, দাও তো বাঘ, কাস্তে।’
বুড়া বাঘ লেজ বাড়িয়ে কাস্তে যেই দিল,
অমনি নাপিত কুচ করে লেজটি কেটে নিল।
বেজায় রেগে বাঘের পাল বলে, ‘ওরে দুষ্ট!
বাগে পেলেই করব তোরে ভাত খাইয়ে পুষ্ট!’
বলে গেলে বাঘের পাল, নাপিত বলে হেসে-
‘আমি হচ্ছি বাঘের চাঁই, নইকো আমি যে সে।’
কমলা নাপিত(কবিতা)- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
Related Posts
স্বপ্ন কবে সত্যি হবে(কবিতা) – ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
তোমরা যদিফুলের মতো ফুটতে পারোনদীর মতো ছুটতে পারোচাঁদের মতো উঠতে পারোবাতাস হয়ে লুটতে পারোদল বেঁধে সব জুটতে পারোতবেএই পৃথিবী সত্যি মধুরহবে! তোমরা যদিপাখির মতো উড়তে পারোমেঘের মতো ঘুরতে পারোআনন্দে গান…
জলছবি (কবিতা)- ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
ওই যে হোথায় নদীর বুকে ভাসছে গাঁদাফুলওইখানেতেই ছিল আমাদের প্রাইমারি ইসকুল।আর ওই যে বাঁদিক-পানে ভাসছে ছেঁড়া-শাড়িওইখানটায় বলি শোনো হায়,ছিল আমাদের বাড়ি। বাড়ির পাশেই সবজি-বাগান, বিশাল খেলার মাঠডানদিকে ঠায় এগিয়ে গেলেই…